পতিতাদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ কী করা হয়? শুনলে আপনিও অবাক হবেন!

অনেকেরই স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর বয়স না হতেই এমন একটি পেশায় আসতে বাধ্য হয়। নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে, ফাঁদে পা ফেলে তারা বেছে নিতে বাধ্য হয় এমন অন্ধকার গলির পথ। পরিণত বয়স না হলেও তাদেরকে এমন একটি ঘৃণ্য পেশায় জড়িত করা হচ্ছে। কম বয়সে এমন একটি পেশায় নিয়োজিত হওয়ায় এদের শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স বাড়তে না বাড়তেই নানা রোগ এদের শরীরে বাসা বাধে।



এইসব পতিতাদের এমন করুণ অবস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করা হলেও তাদের মৃত্যু পরবর্তী সৎকারের বিষয়টি নিয়ে কোনো লেখালেখি হয় না।

প্রায় সব ধর্ম মতে, পতিতারা নিষিদ্ধ। অপবিত্রতায় ভরা তাদের জীবন আলেখ্য। সারাজীবন তারা যে পরিমাণ লাঞ্চনা সহ্য করে থাকে, তারচেয়ে আরও কয়েকগুণ বেশি লাঞ্ছনা পায় মৃত্যুর পর!

জানা গেছে, অধিকাংশ পতিতা বিভিন্ন যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয় তাদেরকে।

পতিতাদের প্রতি কারও থাকেনা কারো মনের কোনোপ্রকার মানবতা। আজপর্যন্ত তেমন কোনো ইতিহাস নেই যে কেও কোনো পতিতাকে বিয়ে করে সুন্দর একটি জীবন উপহার দিয়েছেন। নানারকম লাঞ্ছনা ও ধিক্কার মধ্যদিয়েই জীবন পার করতে হয় তাদেরকে।

পতিতাদের কোনো রকম দাফন কাফনও করা হয়না। পড়া হয়না জানাজার নামাজও। কোনো কবরস্থানে তাদের দাফনও করতে দেওয়া হয় না।

তাদের জন্য করা হয় না মিলাদ মাহফিল বা দোওয়া। এমনকি চল্লিশার অনুষ্ঠ‍ান হতেও বঞ্চিত হয় মৃত পতিতারা। পতিতালয়ের এক কোণে বা আশেপাশের বাগানে লুকিয়ে-অগোচরেই মাটি চাপা দেওয়া হয় অধিকাংশ সময়!

সনাতনধর্ম সহ সব ধর্ম মতেও তাদের সৎকার করা হয়না। সব ধর্মে তারা অস্পৃশ্য। মৃত্যুর পর বস্তা বন্দি করে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ!

মানবাধিকার সংস্থাগুলো পতিতাদের “পতিতা” না ডেকে যৌনকর্মী বলে ডাকার জন্য কাজ করেছে। তবে তাদের দাফন-কাফন কিংবা সৎকার নিয়ে কেও কোনোদিন কিছুই করেনি আজ পর্যন্ত।

তাহলে কবে থেকে পড়া শুরু হবে তাদের জানাজা? বা চল্লিশার অনুষ্ঠান? বা তাদের শ্রাদ্ধের আয়োজন? নাকি এভাবেই বস্তা বন্দি করে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে তাদের লাশ? এর জবাব নাই কারও কাছে।

Source: thedhakatimes.com

Post a Comment

0 Comments